নন্দিনীকে…
যদি আর প্রেমের কবিতা নাই লিখি কোনোদিন,
কি হবে!
তছনছ সংসারের ছায়া মাড়িয়ে পাখি উড়ে যাবে
নির্বিষ নৈঋতে
শোক হয়ে ঝরে পড়বে বেগুনী বেগনভলিয়ায়!
লিখবনা। সত্যি বলছি, মাখোমাখো প্রেমের কবিতা
আসেনা আমার। চতুর্দিকে বিবমিষা জাগে
অশ্রু আর ভ্রূ-পল্লবের কর্মফলে
তখন তুমি রক্তকরবীর নন্দিনী।
চলে যাও বরং!
মন্বন্তরের তাপ মেখে দৌড়ে পার হয়ো
নিষিদ্ধ আঙিনা,
বরং অনুতাপের কবিতা লিখব তখন!
করুণাময়ী গার্লস হোস্টেল
ওকি তারা, নাকি ব্যাচেলার মেয়েদের মেসবাড়ি
যতবার ছুঁতে গেছি, পুড়ে গেছে ছায়া
খিলখিলিয়ে হেঁসে উঠেছে কারা যেন!
যতবার উষ্ণতা চেয়েছি
অন্ধ করে দেয় চোখের ইঙ্গিতে।
যেদিন ঈশ্বরী পুষবো করতলে
পিশাচসিদ্ধ হবো,
লাল নীল ঘুড়ি উড়িয়ে দেবো নৈঋতে
সিদিন তারা বলে মেনে নেবো তোমাকেই।
তখনও কুপি জ্বলবে নিষিদ্ধ গুহায়
তখনও কোকনদে ঝরে পড়বে
বিশ্রী ইঙ্গিত
আমিও তো তারা হতে পারি,
মেঘ রাখি বুকের ভিতরে
অকারণ ভিজে যাই
কুমারী মেয়েদের মতো।
জিগর সে পিয়া…
বিড়ি যদি জ্বলে থাকে বহুদিন
তামাকের গন্ধ লাগে ডালে…
লালসুতো, নীলসুতো
প্রত্নে জাগে উদ্বাহু পরাশর
প্রিয়া নয়, প্রিয়া নয়
শালগ্রামে নেমে আসে কাঁচুলিশরীর।
বিড়ি যদি জ্বলে থাকে বহুদিন,
খড়িমাটি এঁকে রাখে ইঁদারাতলায়,
সাম্যের গান ধরে মেনকা উর্বশী।
কাটা পাতা, কাটা পাতা
ভিড় করে সুখ ও তারারা
প্রিয়া নয়, প্রিয়া নয়
চোঁয়া জল চামেলি জিগরে
বিড়ি যদি জ্বলে থাকে বহুদিন
ভাপে ভাপে শুকায় প্রতিমা,
বেদ চাটে মত্ত খাটাসে।।
কৌশিক সেন
উত্তমনগর, নিউ দিল্লি
৯৩১৯৭৫২৩৬০