শৃঙ্গার
শরীরে শরীরে খেলে বেড়াচ্ছে শ্রীমতী
নাচের ঝাঁকুনি থেকে হাতখোঁপা
স্তরে স্তরে এখন বর্ষণ।
বুক বেয়ে নেমে গেছে যে জলপ্রপাত-
উলঙ্গ দেখেছে সে সব-বৃন্ত দলমণ্ডল
কাঁপুনি লাগে
লজ্জা রেখে আসি স্তনের নিচে
নাকফুলে ফেরি করি প্রাচীন উল্লাস...
তবু,
কেন নিজেরই মন ওঠে না অনির্বাণ?
কুন্দঝোপে ফুল আসেনি
এ'বেলা তাই মালীর বিরতি।
মাটি ছুঁই। আতর ছেটাই
রাত বাড়লে চাঁদ নিয়ে বসব দু'জন
চোখের কোল ঘেঁষে দেব প্রদীপ কাজল
নরম সুতির ওপর কলকার ফোঁড়
উষ্ণ জল দাও
যত্ন করি এই রূপক শরীর
সন্ত্রাস
এখন যুদ্ধ নিয়ে কথা হবে
সারাক্ষণ। প্রতিটি জরুরি মুহূর্ত, শুধুমাত্র যুদ্ধ
অথচ, মোক্ষম সময়ে জলের ওপর সমস্ত দায় চাপিয়ে
তুমি বসে আছ আমারই শৃঙ্গারে।
তুমি কি রাজহাঁস?
সাঁতার তোমার গৃহনন্দন?
লড়াইবেশে এসেছি
নৌকা আমার কবচ নয়।
সে অস্ত্র,পারাপারের-
দুই হাতের তালুতে সুগন্ধতৈল
পাটে পাটে সাজানো চুলে জুঁইমালা
হাতে বল্লম। বক্ষবন্ধনীতে লুকোনো দেরাজ
তোমাকে সঙ্গমে লিপ্ত করার ভিতর কোনো কৃতিত্ব নেই
সন্ত্রাস বলতে তোমার ক্ষমাপ্রার্থী চোখদুটিই...
খুব সুন্দর কবিতা দুটো পড়লাম আমার প্রিয় কবি পিয়াঙ্কীর । অসাধারণ সব অনুভব
উত্তরমুছুন