ঘরকা মুরগি...
ঘরকা মুরগি ডাল-বরাবর, কথাটা কি প্রথম ইভ ভেবেছিল নাকি, আদম
নিষিদ্ধ-ফল খাওয়ার পরও, পাখিদের কিচিরমিচির, হরিণ, বাঘ, সিংহের দৌড়াদৌড়ি, হালুম-হুলুম এমনকি, জ্যোৎস্নার জোয়ার-ভাটা পর্যন্ত, জ্বর-মুখের সেই পাউরুটি আর ভেলিগুড়, ভেলিগুড় আর পাউরুটি মার্কা বাংলা-সিনেমার ফুলশয্যার দৃশ্যেই আটকে আছে
একটা মুখস্ত-পাঠশালার বই আর কতবার পড়া যায়
আঠারো-শতকের অ, আ-কে, আজও কি পাঁচফোড়ন দিয়ে সাঁতলানো আলু-চচ্চড়ির মতো করেই লিখতে হবে
আর
একটা চন্দ্রবিন্দুর ফিগার লেটুসপাতাসহ কি মাধুরি অথবা, ক্যাটরিনা হয়ে উঠতে পারে না
পুরানো সিলেবাসের কিচির-মিচির এবং হালুম-হুলুম-রোদ-ছায়ার ম্যাড়ম্যাড়ে ডুয়েলে, একটা মলাট-ছেঁড়া স্বপনকুমার পর্যন্ত নেই যে সেসব, সকালে একটু আলু-কাবলি, বিকেলে দোপেঁয়াজা কিংবা, ভেলপুরি হয়ে উঠবে
এবং
আপেলের মতো, আধখাওয়া-চাঁদ আকাশ থেকে নেমে এসে টুকরো-টাকরা হলিউড-বলিউডি নাচা-গানা এবং আহ্ণিক গতির সঙ্গে ঘুরে-বেড়ানো সাইকেলের ক্লান্ত প্যাডেলদের কপালে ঘুমের চুমু দিয়ে যাবে
কিন্তু
সেসব কোথায় কি , পান্তাভাতে ঘি কিংবা, সন্ধ্যাবেলার চামেলিরা পর্যন্ত, স্বপ্নে এক-আধদিনও হারমোনিয়াম বাজাতে বসে না
এ-রকম থোড়বড়িখাঁড়া-ডাল-ভাতের কমপালশন থেকে শুধুমাত্র, কবিতা লিখব বলেই, অর্থনীতি নিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম
কারণ মানি-ট্রানজাকশন, রিসিপ্ট & পেমেন্ট, ব্যালেন্সশিট..., একসময় ঘরকা মুরগি হয়ে উঠলেই, কবিতার খাতা, পক্ষীরাজ ঘোড়া হয়ে ডানা মেলে
বিভীষণের চৌদ্দপুরুষ-বৃত্তান্ত এত-যে ক্ষীরের মতো গামলা-গামলা পুরু ডাল হয়ে উঠল তবু্ও, মীরজাফর...সিরাজউদৌল্লা একই ট্রেনের সিটে আধা-আধি পাছা রেখে, আজও একটা বিড়িতেই ভাগ করে সুখ-টান দেয়
লাটাইয়ের মতো বুক
একটা মশলা-মুড়ির ঠোঙা ঘিরে উড়ে বেড়ানো-জলতেষ্টা আর সাত-দিনের ঘামে ভেজা-রুমালের সামনে
একবাটি পায়েস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সকাল-বিকেল কমপ্লান খাওয়া নিউটাউন
যদিও পায়েস এবং জলতেষ্টার নাড়ি টিপলেই বোঝা যায়, বাটির ওপাশে রক্ত-জল মোছা রুমালটা বুদ্ধ নয় এবং দেখ আমি বাড়ছি মাম্মি, ছায়ার টাওয়ারগুলোও সুজাতা
কারণ
পায়েসের বাটিতে বক-পাঁতির বদলে ডুবসাঁতার কাটছে পানকৌড়ি, জলপিপি রঙের অন্ধকার
এবং
ছায়াগুলোও, খুব স্যাঁতসেঁতে
আর
একটা কুম্ভকর্ণ-হাঁয়ে গিলে ফেলছে ঘাসফড়িং-প্রজাপতি রঙের ছেলেবেলা
বাটির কানাশিতে, যখন যেমন, তখন তেমন-হাওয়ায়, কোমর দোলাচ্ছে টুকলি-জন্মের লোটা, কম্বল, চিমটেরা
আকাশ, মেঘেদের হাওয়ায় আঁচল ওড়ানো ঘুড়ির ঘর-গেরোস্থালিতে, লাটাইয়ের মতো বুক খুব কম পুরুষেরই দেখেছি
ফুচকার নাভিতে হাত রাখলে, ঠোঁটের চুম্বন-রেখায় যারা লক্ষ্মণখড়ির দাগ টানে, তারা তাজমহলের জ্যোৎস্নায় শুয়েও, মেঘ, তারাদের শরীরের গন্ধের বদলে, সাতজন্মের ভেপুন্দা-গন্ধই,
চিবোতে ভালোবাসে
- প্রথম পাতা
- বিষয়
- _গল্প
- _কবিতা
- _প্রবন্ধ
- _ভ্রমণ
- _ফটোফিচার
- _বাংলাদেশের কলম
- _ধারাবাহিক
- _ফিল্ম রিভিউ
- _পাঠ পরিক্রমা
- Editions and Archive
- _২৫শে বৈশাখ
- _বৈশাখী সংখ্যা
- _স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা
- _প্রাক শারদ সংখ্যা
- _ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংখ্যা
- _শারদ সংখ্যা
- _মাহশা ইরান সংখ্যা
- _দীপাবলি সংখ্যা
- _ঋত্বিক ঘটক সংখ্যা
- _শক্তি চট্টোপাধ্যায় সংখ্যা
- _শীতকালীন সংখ্যা
- _প্রথম বর্ষপূর্তি সংখ্যা
- _বইমেলা সংখ্যা
- _ভাষা দিবস সংখ্যা
- _দোলযাত্রা সংখ্যা
- _পয়লা বৈশাখ সংখ্যা
- _কার্টুন সংখ্যা
- _শারদ সংখ্যা ১৪৩০
- _বিশেষ সংখ্যা
- _রক্ত করবী সংখ্যা
- Contact Us
- Editorial Team
- About Us
