দোঁহা

তাপস কুমার দের কবিতা

 


শবযাত্রার দৃশ্য  

মর্মে সমুদ্র  
অতিরিক্ত লবণের দল বদল 

শবযাত্রার দৃশ্য আকাশের মধ্যে বিদ্যমান 

অস্তরাগের বাতাসে
কেউ যেন পেছন থেকে বলে দেওয়া গল্প শোনাচ্ছে 
অনেক দিন ধরে গল্পে গল্পে আয়নায় জীবিত হয়ে উঠবে সে দৃশ্য

নক্ষত্ররা কীর্তন গাইছে 
চাঁদের জ্যোৎস্না কান্নায় পাহাড় 

মেরুকরণে কোন সৃষ্টি হচ্ছে 
এক একটা গর্ত

অন্ধকার জল-হাওয়ায় কারা যেন  টোকা দিচ্ছে 

বৃষ্টি হচ্ছে 
বজ্রধ্বনিতে লাল উল্লাস
রাত তাই উদাসীনতা হয়ে যাচ্ছে 

চোখের ইশারায়  কথা হচ্ছে 
দৃষ্টিতে পাথর চেপে বসে 

পাথরে কান্না খোদাই করা হচ্ছে 

বিয়োগাঙ্ক–
শোক বয়ে নিয়ে আসছে 
যোগ চিহ্নে শোকের পর শোক গাঁথা হচ্ছে 
প্রতি যোগ চিহ্নে মৃত্যু চিহ্নিত হচ্ছে 
প্রতি মৃত্যু সমান এক আকাশ 

মেঘ-তুলোর বাড়ি 
যেখানে স্বপ্ন কেন্দ্রিক যাতায়াত 
যেখানে কাল্পনিকতা শুয়ে আছে এক ইমেজ জড়িয়ে 

ঘড়ির কোন ইমেজ নেই 
নিঃশ্বাস পড়ে না 

আগষ্ট মাস–মেঘবৃষ্টি ইতিহাস নিয়ে আসে 
কালো রং
কালো বৃষ্টিতে দ্রোহ-প্রেম সূর্য নিয়ে আসে

এখন সূর্যের গহনা আছে।। 


আতংকের বাড়া ভাত 

গান অনন্ত কালের অতীত সুর নিয়ে আসে 
বৃষ্টির এই ভরা মৌসুমে 

শহরের অট্টালিকাগুলো মাথা নুইয়ে থাকে
আকাশ আর জলবায়ু অপাঠ্য হয়ে ওঠে 
সবুজ পাতায় লেখা মানুষ পাথুরে রেখায় গলে পড়ে

আর আতংকের বাড়া ভাত হাই তোলে 

একটুকরো মেঘ খেয়েফেলা হতভম্ব নক্ষত্ররা বরফের মত জমে আছে 

সূর্য পুড়ছে 
ভাষাহীন মানুষ আতস কাঁচ

দুপুর ডাকের অপেক্ষায় হাঁ বাড়ানো আকাশ 
সুঠাম কাঠামোয় অন্ধকার আঁকা পশ্চিমের গম্বুজ
এক যোগিনী মাযা কবিতা ঘিরে চকচক করছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন