দোঁহা

কুশল মৈত্রের কবিতা

 


 ইরেজারে মুছে গেছে পেন্সিল যাপন

দুপুর গড়িয়ে বিকেল। এখনো দাঁড়িয়ে চৌরাস্তা মোড়ে। নীল দিগন্তরেখায় ছুটে চলেছে দূর সীমানায় রাস্তাখানি। চোখ চুঁয়ে চুঁয়ে ব্যথার প্রহর গোনে। অপেক্ষায় কখন চুমুতে সন্ধে নামবে? বাঘের ডোরাকাটা হলদে দুপুর হারিয়ে গেছে কিছুক্ষণ আগে সময়ের মেরুকরণে। পিছন ফিরে তাকানোটা এখন বড্ড ন্যাকামি আর একাকী লাগে। কমলা আকাশটা তাকিয়ে রয়েছে আমার দিকে। কোন সন্ধিক্ষণে আসবে বেগুনী লাল ঘেঁষা পাড়খানি। নীল দোদুল্যমান বুকখানিতে সূর্যাস্ত ঝরে পড়ে। ইরেজার মুছে দিয়ে গেছে পেন্সিলের যাপনচিত্র। ঈর্ষার আলোয় ঘেমে গিয়েছে নীল দিগন্ত চরাচরে— ঘুড়ি আজ উড়ছে একাই অদৃশ্য ক্যামেরায় আমার আকাশবন্দি। আর লাটাইয়ের পাকে মাঞ্জাসুতোয় জড়িয়ে রয়েছে মায়া-কামনা— ভালোবাসার স্মৃতি!

 

 খেলা শেষ হলে
 

মধ্যপ্রাচ্যের দেওয়াল ঘেঁষে প্রাইভেসিটা এখনও জমকালো পোশাক। গোছানো সংসার মাঝে ফুলেরা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে ফুটতে চায় ভোররাতে! দুচোখের উলঙ্গ শরীরী রাস্তায় বেজে চলে বিসমিল্লার সানাইয়ে জীবনচিত্র। নির্জনে উড়ে বেড়াই রঙিন প্রজাপতির ডানায় ডানায় গন্ধ ছড়াই ডিওডোরেন্ট স্প্রে কসমেটিস্! ওঠানামা চলতে থাকে কল্পনা রং সস্তা শরীর জড়িয়ে। সাজানো বাগানে আগামীতে সবকটি গাছে কুঁড়ি আসবে খেলা শেষ হলে...

 সুগন্ধ ধরা দেবে চেনা পারফিউম আর চুপিচুপি লজ্জার হাসিতে!

2 মন্তব্যসমূহ

  1. কুশল মৈত্রের কবিতা পড়ার পর কি মনে হওয়া প্রত্যাশিত? যে জীবনযাপনের ভেতরে আমি তুমি আমরা একেকটি চরিত্র, তার ভেতর থেকেই রূপকথার রসদ যোগাড় করে আনা যায়! যায়। যদি, দক্ষ হাতের আদরে শব্দের বিভাব ঘষে ঘষে বের হয়ে আসে...ধরা দেয় সৌরভের অন্তস্থ প্রাঞ্জল আর্তিতে। এই কবিতারা বড় চেনা, কখনো পাশাপাশি বসে চা খেয়েছি, কখনো হয়ত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করেছি স্টেশনে, কখনো চলতি রাস্তায় দেখা হয়ে গেছে...যাপনের সবকটি ভাঁজ ও খাঁজে এই কবিতাদের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী বোধ হওয়াই যেন এক অনুপম পাঠ অভিজ্ঞতা হয়ে রইল। তবু কবির প্রতি যা বলার, তা হল বক্তব্যের অতিরেক ও লেখাকে সুখপাঠ্য করে তোলার প্রবণতা - এই ঝোঁক কবিতার আদল থেকে কখন যে মুছে নেয় ঘামতেল, বুঝে উঠতে পারা যায়না। দয়া করে একটু বিবেচনা করবেন। ভাল থাকবেন।

    উত্তরমুছুন
  2. বেশ ভাল লাগল কবিতাগুলি । শুভেচ্ছা জানবেন কুশল মৈত্র ।

    উত্তরমুছুন
নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন