দোঁহা

সৌরভ মজুমদারের কবিতা

 


বৃন্দগান

ফজরের আজানের সুর এসে ডেকে নিয়ে গেলে
অনাদি ঋকের কালে সবিতাব্রতে, গায়ত্রী ছন্দে      

তুমি হে সমান্তরাল ভোর, একাকী কথক, জ্বেলে  
রেখো প্রাকৃত আঘ্রাণ, নিয়তিপ্রায় অলীক দ্বন্দ্বে

 দশের অধিক দিকে। রবাহূত প্রাণ যেইখানে  
সারাবেলা আঁকিবুকি কাটে এঘর ওঘর ভ’রে,
পরাগকেশর মেখে কলমা পড়ে, ব্রজের বাথানে।      

ছাপানো কাঁদনগীত, দেখি আদাড়ে-বাদাড়ে ওড়ে…     
 

এখন কি কাঁদার সময়! মানব বিভেদ-চোখ,   
ক্ষয়, যদি রাষ্ট্র আঁকে ধীরে - যেমন প্রবালগতি     
সমুদ্র অতলে - শ্লেষ শোক, স্মরণীয় শেষ শ্লোক     

তেয়াগী - সংহত করো হে শব্দ, মধুকবি যেমতি।  

 
 যাও পাখি যাও ভোর একক বৃন্দগানে ভাসাও
হে চরাচর, স্বকীয় ধ্বনিতে ধরিত্রীরে জাগাও…  
 

নামহীনা

আমার নদী ঘুমিয়ে আছে মনে
স্বচ্ছতোয়া, নেই কোনও ভণিতা
এপার ওপার নৌকো যত জুড়ে
মন শরীরের শাম্‌লা কথকতা

পাতা পাতায়, ডানায় ডানা মেলে
যেমন থাকে বালিহাঁসের ঝাঁক
পালক-জলে বেদন ঝরে গেলে     
অকুতোভয়, খর মানস পাক   

প্রখর দাহে অন্তঃআরাম চাও!  
ঈষৎ মুগ্ধ শুকনো নদীর খাতে
হিমানী সম্পাতে ক্ষত, ধারা, স্রোতঃ    
গ্রহণ ছল করেই, ছোঁও তাকে  

নদী আমার স্বতঃসলীল ছিল
মন সফরে, ডাক ফেরালে যাকে…

1 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন