দোঁহা

পলাশ দাসের কবিতা

 


কালো মাথা

যেমন ছুটে যাচ্ছে গাড়ি, থামছে,
আবার ছুটছে
তাদের নিয়মিত একটা যাত্রাপথ আঁকা আছে
রবি সোমের উল্লম্ব পিঠের ওপরে
বসে থাকা কি একটা নিয়মিত অভ্যাস?
একটা ত্রিভুজ আমাকে গিলে ফেলছে সকাল সন্ধ্যায়
আবছায়ায় আলোর কণার ভিতরে
ঘুমের গভীরে জাগরণে
আর সেখানে থেকে কোন রকমে কাটা মাছের ফোঁপরা টেনে বার করে
আনার মতো নিজেকে বার করে আনতে আনতে দেখছি  
নদী আর জলের ভিতর প্রবল শোরগোল
আলো কমে আসছে আকাশের গায়ের তারার  
নিভে যাচ্ছে স্ট্রিট লাইট
জানলা দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে তথাকথিত দীর্ঘদেহী শহরের ঘর
সার দিয়ে বসে থাকা ফুটপাথের ইটে ধুলো
বসে পড়ি সেখানেই সেই ধুলো আর ইটের গা ঘেঁষে  
কিছু উজ্জ্বল মুখের পাখি সেখানেই হাতে গুজে দেয়
ওষুধের খাম কেউ কেউ ফেলে যায় থলে পায়ের খুব কাছে
সেই ধুলো জমে যাওয়া শরীর নিয়ে আমার আর হেঁটে ওঠা হয়ে ওঠে না  
দেখতে দেখতে আরেকটা মাথার মতো কালো ছায়া ঘিরে ধরে   

 

সাইনাস  
 

দু’হাত জুড়ে যখন অমিল শব্দের উন্মীলন
আদুল মেঘের শরীর  
পেন্ডুলামের দোদুল্যমানতা  
দু’হাতে এগিয়ে দিচ্ছে বাবুই পাখির বাসা
তুলোর ঘর আর টুনটুনির দীর্ঘশ্বাস  
হেঁটে চলা দুরূহ মনে হতে হতে বাসের পেটের মতো   
ক্রমবর্ধমান অন্ধকার গর্তে পা ঢুকিয়ে দেওয়ার আখ্যান
তারপর ঠেলে ঠুলে শরীরকে চালান করার অছিলায় মেতে ওঠা  
এই মেতে উঠতে উঠতেই থালা উলটে দেখে নেওয়া কতটা
বাতাস জমে আছে দীর্ঘ অন্ধকারের আবরণে
দৃশ্যমান দেওয়ালের ভাঁজে তেলা কচু ফল থেবড়ে আছে  
ছড়ানো ছেটানো জীবনের সঞ্চয়
তখনও ধানগাছ মাথা তোলে নিভৃত ঘরের কোণে
মাকড়শার বাসা ঠেলে উঠে পড়ে তার নরম শরীর
আর কিছু জমিয়ে রাখার তাড়নায় সাইনাসের ব্যথার প্রত্যাঘাত জমে ওঠে তাকের কোণে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন