দোঁহা

বিসর্জন



রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়

 অনিতের বডি এল সুদৃশ্য বাক্সে ভরে। জাতীয় পতাকায় ঢাকা। গোটা পাড়া লোকে লোকারণ্য। এত লোক তো পাড়ায় থাকেনা। তাহলে? আশেপাশের এলাকা থেকেও দেখতে এসেছে সবাই। কি দেখতে এসেছে? এ তল্লাটে প্রথম একজন সোলজার যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুসেনার গুলিতে মারা গেছে। তাঁরই শেষকৃত্যের জৌলুশ দেখতেই ভিড় করেছে সবাই। যেভাবে দীপাসন আর রাখী সংঘের কালী ঠাকুর বিসর্জনের সময় রাস্তার দুধারে ভিড় উপছে পড়ে, কার কটা রথ এল, ঘোড়া, হাতি, ব্যান্ড পার্টিতে কে কাকে টেক্কা দেয় –এসব নিয়ে চর্চা চলে তারপরও অনেকদিন।

অনিত সেন। সবাই প্রথমে অমিত বলে ভুল করে। বদ্যি বাড়ির ছেলে গেল যুদ্ধ করতে! আর্মিতে চাকরির চেষ্টা চালাচ্ছিল লুকিয়ে। কলকাতায় যাওয়ার নাম করে গোখেল রোডে গিয়ে যে কিসব কান্ডকারখানা করে এসেছিল, কাউকে জানায়নি। বাবা মা খুব একটা খুশী হতে পারেননি ছেলের চাকরী পাওয়ার খবরে। কিন্তু ছেলের একগুঁয়েমির কাছে হেরে গিয়েছিলেন। এরপর প্রোমোশন পেয়ে অনেক উঁচুতে উঠেছিল। কার্গিল ফ্রন্টে একটা রেজিমেন্টের দায়িত্ত্ব নিয়ে যাওয়ার আগে মা বাবাকে ফোন করে উচ্ছ্বসিত আনন্দের সংবাদ দিয়েছিল। বাবা মা ছেলেকে বোঝাতে পারেননি এই সংবাদ তাঁদের কাছে আনন্দের নয়। ঘরকুনো ঝুটঝামেলা থেকে দূরে থাকতে চাওয়া বাঙালী কি এত সহজে তার স্বভাব বদলাতে পারে? দুএকটা রাসবিহারী মুখুজ্জে, বিনয়, বাদল, দীনেশ, সূর্য সেন দিয়ে তো আর গোটা জাতটার খোলনলচে বদলে যায়না। এরপর প্রতিদিন টিভিতে যুদ্ধের খবর শুনতে উৎকীর্ণ হয়ে থাকাই একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়ালো সুধাময় বাবুর। অনিতের বাবা। সামনের অঘ্রাণেই ছেলের বিয়ের কথাবার্তা চলছে। মা ঠাকুরের আসনের সামনে দীর্ঘ সময় চোখ বুজে বসে থাকেন, আর গড়িয়ে পড়ে নিঃশব্দ অশ্রু।

ওয়ার ফ্রন্টে এর আগেও যে যায়নি তা নয়, কিন্তু সেখানে শুধু ছিল নির্দেশ পালনের দায়িত্ত্ব। এখানে নিজেই নির্দেশ দেওয়ার জায়গায় থেকে অনিত আড়াইদিন পর থেকে বুঝতে পারছিল, এবার শক্ত ঘাঁটি। হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। কিন্তু তৃতীয় দিন সকালবেলা যখন মেসেজ এল যে রাইট উইংয়ের ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়ে এনিমি সোলজাররা বেসক্যাম্পের দিকে টার্গেট ফিক্সড করে ফেলেছে, তখন কম্যান্ডারকে পলিসি হঠাৎ করে চেঞ্জ করতে হল। এই সাডেন এবং পিকিউলিয়ার অ্যাটাক যুদ্ধের ব্যাকরণ মেনে না হলেও, এতে এনিমিকে হতভম্ব করে দেওয়া গেছিল। পিছু হঠতে হঠতে এনিমি যে মোক্ষম চাল দিল, তাতে কম্যান্ডার অনিত সেনের মৃত্যু রোখা গেলনা। যদিও সে অবস্থাতেও বিপক্ষের দৃশ্যমান সব কজনকেই উড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেকেন্ড অফিসারের মেসেজে ফ্রন্টে আরও সোলজার উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল অনিত সেনের মৃতদেহ নিয়ে যেতে। এরপর যুদ্ধ শেষ হলেও ভারত একজন দক্ষ সেনাকে হারাল।

বাবা মা তাঁদের একমাত্র ছেলের জন্য একান্তে দুঃখপ্রকাশ করবে, সে সুযোগও নেই। এলাকার রাজনৈতিক নেতারা ততক্ষণে দখল নিয়ে নিয়েছে এই আকর্ষণীয় মৃত্যুর। মিলিটারি পার্সোনেল যাঁরা কফিন নিয়ে এসেছিলেন, তাদের নিয়ন্ত্রণও প্রায় শিথিল হয়ে যাওয়ার মত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হল। স্পীকারে বন্দেমাতরম বাজছে। সে গান থামিয়ে নেতা মাইকের সামনে গদগদ হয়ে বলছেন, আজ আমাদের জাতীয় শোকের দিন। এজন্য আসুন আমরা এক মিনিট নীরবতা পালন করে মৃত সৈনিকের প্রতি শোকজ্ঞাপন করি। নীরবতা পালনের পর ভিড়ের মধ্য থেকে শোনা গেল খ্যানখেনে গলায় কে যেন বলে উঠল, “শোক কেন হবে? এ তো গর্ব। দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে...কজনের এই সৌভাগ্য হয়!”

নেতা দৃশ্যতই বিব্রত। নেতার স্যাঙাতরা খুঁজে বের করে ফেলল, “আরে এ যে গুলিদাদু! কি ব্যাপার দাদু, এত বয়স হল, কোথায় কি বলতে হয় এখনো শিখলে না? কোন আমলে ইংরেজদের বিরুদ্ধে কি লড়াই করেছিলে, সে ঘিয়ের গন্ধ আজও শুঁকে যাবে নাকি?”

“আঃ, ছাড় ওঁকে।“ নেতার ধমকে ব্যাপারটা থিতিয়ে গেল। অনিতের মৃতদেহ চলে গেল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে।

“দেখুন আপনার একটা গ্লোরিয়াস হিস্ট্রিকাল ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, গোটা এলাকার সবাই জানে। আপনাকে যথেষ্ট সম্মানও করা হয়। এই তো ১৫ই আগস্ট আসছে। আপনাকে আমরা উত্তরীয় পড়িয়ে, ফুলের স্তবক দিয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে সর্বসমক্ষে সম্মান জানাবো, ঠিক হয়ে রয়েছে। আপনি কিন্তু সেদিন সবার সামনে ও কথাটা বলে ঠিক করেননি। এতে আমার সম্মানটা রইল? আর যতই গর্বের হোক না কেন পাড়ার ছেলের অকালমৃত্যু কি শোকের নয়?” নেতা থামল। তার মুখে একটা স্যাকারিন হাসি ঝুলে আছে যার মিষ্টির কোটিংয়ের নীচে ভীষণ তিতকুটে স্বাদটা না চেখেও নির্ভুল বলে দেওয়া যায়।

গুলিদাদুর আসল নাম সত্যরঞ্জন স্যান্যাল। বয়স প্রায় সাতাশির কাছাকাছি। কিন্তু পাকানো নুয়ে পড়া শরীরটা দেখলে মনে হয় সত্তরের বেশী নয়। ছেলেবেলায় স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন। নিজে হাতে গুলি করে মেরেছেন বরিশাল কালেক্টরেটের নির্দয় টমাস হ্যামারসন সাহেবকে। কিন্তু হাতেনাতে ধরা না পড়ায় ফাঁসির সাজা থেকে বেঁচে যান। যে কোচওয়ান সত্যকে পালানোর সময় দেখতে পেয়ে গিয়েছিল, সে কিছু স্বীকার করেনি। দেশ তখন উত্তাল। ঝাঁকে ঝাঁকে তরুণ দুচোখে স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আন্দোলনে। সবাই হাতে বন্দুক চায়, সাহেব মারতে চায়। গান্ধীজী ইতিপূর্বে দেশজুড়ে এই হিংসাত্মক নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদপত্রগুলি গান্ধীজীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছে। একইসঙ্গে এদেশের ঔপনিবেশিক শাসকরা শুরু করেছে তুমুল দমননীতি। অজুহাত ছাড়াই একের পর এক ফাঁসি হয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীদের। সত্যর দল এই দ্বিমুখী বিরোধিতার সমান্তরালে নিজেদের সক্রিয় রাখল অত্যন্ত গোপনে। এর পরেও সত্য আরেকটি বড় কাজের দায়িত্ত্ব পেয়েছিল, তা হল মজিদপুর পোস্টঅফিসে বোমা মারা। কিন্তু সে কাজে সফল হয়নি। উপরন্তু বোমার আঘাতে জখম হয়ে নিজের ডান হাতে চিরস্থায়ী ক্ষত হয়ে যায়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন এদেশে তার ঠাঁই হল, একজন উদ্বাস্তু হিসেবে, কিভাবে যেন একদিন একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় প্রথম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী স্টেজ থেকেই তাকে চিনে ফেলেন দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সাথীকে। সত্যকে সরকারী পদে স্থিত করে দিতেও চেয়েছিলেন তিনি। সেই মত পোর্ট ট্রাস্টে নিম্নবর্গীয় করণিক পদে সত্যর চাকরিও হয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে আদর্শের সঙ্গে তীব্র সংঘাত শুরু হয়। সত্য চাকরী ছেড়ে দেয়।

“আমি যা বলেছি, তা উপলব্ধি করার বিষয়। এ তুমি বুঝবে না। তোমার বোঝার কথাও না। যাইহোক এখন আমাকে এই বিষয়ে বলতে এসেছ কেন? কি চাও?” সত্যরঞ্জন স্থির তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।

নেতা চমকে গেলেন। ফিনফিনে আদ্দির পাঞ্জাবীর কলারের ফাঁকা দিয়ে সাপের চোখের মত  উঁকি মারছে মোটা সোনার চেন। দশ আঙুলে দশটা আংটি। বৈভব ঠিকরে বেরোচ্ছে গোটা শরীর থেকে। তার নকল হাসিটিও মিলিয়ে গেল। মুখময় ফুটে উঠল এক শক্ত কঠিন ভঙ্গী। নেতার তাবেদাররা বুঝে গেল দাদার মুড বিগড়ে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে দাদাকে খুশী করতে তাদের ধুন্ধুমার বাঁধানোটা আবশ্যিক। কিন্তু নেতা ইশারায় সকলকে থামিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।

চলে যাওয়ার সময় বললেন, “দেখুন আপনারা একটা আদর্শের জন্য লড়াই করেছিলেন, এটা ঠিক। কিন্তু তার মানে তো এটাও নয় যে তারপর যে দেশটা হাতে পাওয়া গেল, তার সবটা মিথ্যে!”

সত্য প্রচন্ড তাচ্ছিল্যের একটা হাসি হেসে বললেন, “দেশের তুমি কি বোঝ হে ছোকরা? দিনের পর দিন পেটে একটা দানা পড়েনি, অমানুষিক অত্যাচারের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে, পরিবার পরিজন ছেড়ে পড়ে থাকতে হয়েছে আদাড়ে-বাদাড়ে। তবু লক্ষ্য থেকে বিচ্যূতি নেই একটুও, তবু দেশমায়ের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে রাখার মন্ত্র থেকে অপসৃত হওয়া নেই–আছে এই অনুভূতি?” কথাগুলো বলতে বলতে ওর চোখে জ্বলে উঠেছিল এক অব্যক্ত আগুন। হাঁফাচ্ছিল বৃদ্ধ শরীরটা।

নেতা চলে গেল। যাওয়ার আগে হাত জোড় করে নমস্কারের ভঙ্গীতে বলে গেল –“ভাল থাকবেন।“

“সত্যরঞ্জন স্যান্যাল একজন প্রথিতযশা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তিনি আমাদের এলাকার গর্ব। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাবো যাতে ওনাকে ‘বীর সেনানী’ সম্মান জানানো যায়। এখনকার প্রজন্মকে ওনার সম্পর্কে জানতে হবে। ওনার উত্তরাধিকার আমরা বইবার সুযোগ পেয়েছি, এ আমাদের পরম সৌভাগ্য।" জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রেখে যখন হাততালির ফোয়ারা ছুটেছে, নেতার খুশীতে চকচকে মুখটি দেখে বোঝার উপায় নেই যে...

জগা নেতাকে কানেকানে এসে কিছু বলল। তড়িঘড়ি ভাষণ শেষ করেই তিনি বেরিয়ে গেলেন দামী গাড়িতে।

গুলিদাদুকে গত পরশুদিন খালের পাশে কাদা-ঘাসের মধ্যে ভোরবেলা উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালে বোঝা যায় কে বা কারা গুলিদাদুকে খুন করেছে। কিন্তু এমন একজন মানুষকে খুন করা হল কেন-এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে থাকে। কানাঘুষো হতে হতে চর্চা ক্রমশঃ গাঢ় হয়ে ওঠে যে এর পেছনে নেতা শ্রীমন্ত বৈদ্যর হাত আছে। প্রাক্তন স্বাধীনতা সংগ্রামী সত্যরঞ্জন স্যান্যালের মত নির্ঝঞ্ঝাট একজন মানুষের অপমৃত্যু খুব সহজেই এক স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে ওঠায়, প্রশাসন উপলব্ধি করে যে এর পক্ষে দাঁড়ালে নিজেদের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বিধায়কের মাথার ওপর থেকে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সমর্থন সরিয়ে নেওয়া হয় এবং পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়, শ্রীমন্ত বৈদ্যকে হেফাজতে নিয়ে নিতে হবে। এরপর বিধায়ক ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দিলেন।

১৫ই আগস্টের দিন অনিত সেন ও সত্যরঞ্জন সান্যাল আবক্ষ মূর্তি বসল পাশাপাশি। অনিতের বাবা সুধাময় সেনকে দিয়ে আবরণ উন্মোচন করানো হল। শ্রীমন্তর সঙ্গে যারা ঘোরাঘুরি করত, তাদের কাউকে আর আশেপাশে দেখতে পাওয়া যাচ্ছেনা। এলাকার লোকজন এই আশ্চর্য পরিবর্তনকে স্বাগত জানালো। এরপর উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেল। এই গোটা ঘটনাকে নিজেদের পক্ষে সদর্থক ভূমিকা করে তুলতে বিরোধী দল যখন উৎসাহী হয়ে উঠেছে, সেসময় বিরোধী দলের প্রধান স্থানীয় নেতা শান্তনু গোপকে কে বা কারা খুন করে গেল নিজের বাসভবনের অদূরে, এক সন্ধ্যাবেলায়। সরকার ভাষ্য দিলেন এই নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রকৃত তদন্ত করা হবে। বিরোধী দল কিন্তু নির্বাচনে এই দুর্ঘটনার সুযোগ নিতে ব্যর্থ হল। সরকারে থাকা রাজনৈতিক দলই বিপুলভাবে জিতে এল সমস্ত উপকরণ প্রয়োগ করে। নতুন বিধায়ক জনগণকে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানালেন।

গুলিদাদুর জীবন ও কর্মকান্ড এখন চতুর্থ শ্রেণীর ইতিহাসে পাঠ্য হয়েছে। আবক্ষ মূর্তির পাদদেশ আগাছায় ভরে উঠেছে, মুখশ্রী জুড়ে পক্ষীবিষ্ঠার ছাপ, লোকজন আসে যায়, ওদিকে কখনও তাকায়, কখনও খেয়ালই করেনা।    

বেশ কিছুদিন পর আবক্ষ মূর্তিগুলি সরে গিয়ে অকুস্থলে একটি পার্ক তৈরী হল, যার নাম দেওয়া হল ‘সত্যরঞ্জন পার্ক’। রাস্তাটার নাম বদলে হয়ে গেল ‘অনিত সেন সরণী’। এ তল্লাটে কেউ আর এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলেনা, সবই মেনে নেয়।  

তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক কৌশিক রায়চৌধুরী তার ডকুমেন্টরির বিষয় নির্বাচন করল – ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী সত্যরঞ্জন সান্যালের জীবন’। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য নথিপত্র প্রস্তুত হচ্ছে, এমন সময় একদিন রাতে কৌশিকের কাছে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন এল-'আপনার ডকুমেন্টরির বিষয়টা বদলে ফেলুন।‘

‘বুঝলাম না।' কৌশিক অবাক হয়ে বলল।

‘না বোঝার মত কিছু তো নেই। এই বিষয়ের ওপর তথ্যচিত্রটি নির্মিত হবেনা।‘

‘আপনি কে বলছেন? আর একথা বলছেনই বা কেন?’

‘আমি কে সেটা জানা কি খুব জরুরী? যা বলা হল তেমনটা করা না হলে যা হবে তাকে সামলানোর দম আছে তো?‘


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন