দোঁহা

পিয়াংকীর কবিতা



ক্ষেতজমি

এভাবেই ক্ষত বাড়ে, প্রাপ্তবয়স্ক হয় বনমোরগ
অতঃপর, বসন্ত এলেই গুটিতে গুটিতে ভরে যায় গা
যতই ভাবি ছোঁব না, শাপশাপান্ত করে প্রতিবেশী
ছায়ার ভেতর এখন গিজগিজ করছে পিঁপড়ে
ছড়িয়ে পড়ছে ভাঙা বাসনের আওয়াজ

নদীতে জল বাড়ন্ত, তবু কোন চোরাপথে ভিজছে মাটি
কামিনীতে পোকা ধরার মরসুম এলে কেন নেতিয়ে  যাচ্ছে জলঢোরার দোহারা চেহারা

বর্ষাতি অথবা মশাল।
তীব্রতা একটি শাবক বৈ কিচ্ছু নয়

অনায়াসে যাকে ক্ষত বলে চিহ্নিত করা হয় সে হয়তো  ক্ষেতের মতোই রত্নগর্ভা



বিয়োজক
 
পরাগ পরমুহূর্ত সাময়িক বিরতি, আদিকণার অপসারণ
জলে বায়ুতে এমনকি মাটির হাঁড়ির আশেপাশে অনবরত  ঘুরঘুর ঘুরঘুর
ছপ্ করে ডুব দেয় নাবিক
নিঃশব্দের গায়ে কারা যেন ছোঁড়ে একমুঠ বালি

নাভিকুণ্ডে পদ্ম, আরোগ্য হয়ে ফিরে আসছে পথিক
বাড়ির উঠোনে  রজনীগন্ধা

শৃঙ্খল ভেঙে  বিয়োজক উড়ে উড়ে...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন