যাযাবর
মেহুলি বাতাসের কাছে ঋণ কিঞ্চিৎ
বিমনা বিবস্বানে উপাসনা গচ্ছিত
ক্যানভাসে এঁকেছ মানুষের চলাচল
বলি বন্ধু খুঁজে দেবে? শিল্পী অচঞ্চল
নৈমিত্তিক আকাঙ্ক্ষাতেই দিন ফুরাই
ভাঙ্গনের পথে হাঁটে যমুনাবতী রাই...
স্ফীত জোড়া চাঁদ বুকে আরক্ত অধর
নিতম্বিনি ভামিনীর পোড়ায় যে অন্তর
নয়ানে সরসী খুঁজি, বুঝি অনিত্যতাই
ডোবায় উছলে পড়ে হরিণীর ঘাই
আমি যত কম জানি তত বেশি বুঝি
ঝরা ফুলের সঙ্গোপন কুঁড়িতে খুঁজি
জল বলতে মাছ বুঝি নুড়ি ও পাথর
সূর্য চাঁদ, দিনরাতে নিঃসঙ্গ, যাযাবর
গণিকা
এটা ঠিক নাগরিক ভিড়ে তো নয়-ই;
মঞ্চেও আমরা ছিলাম না কখনোই।
মজাটা এই যে, আয়না দেখানোটাও জরুরি
ছিল তাই...
দিনের মেজাজ অস্থির; প্রতি মুহূর্তে বদলাতেই
থাকে আলোর রঙ, মানুষের ভড়ং।
প্রদীপের আলো ও দপদপ, স্থির কবে ছিল?
রাতের কিংবা প্রদীপের নিচে অন্ধকারের কোনো
অভিমান! কখনও দেখেছো, বলো?
যত-ই গাল দাও, দূর্বা-র ও যদি মেরুদন্ড!
এই বিস্তীর্ণ প্রান্তরের নগ্নতা কে ঢাকতো?
সম্পদে, আলোর বৃত্তে,
তবুও ঐহিক অপ্রাপ্তিতে
দুঃখ রাগ অভিমানের দুঃসহ প্রকাশ!
আমি বৈ আর কে সহ্য করতো?
কবি! বলতো?