দোঁহা

পূর্বা মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

 


 রম্যাণি... 

ভালোবাসা, সহৃদয়া, এমন সামান্য বস্তু নয়
যে তাকে চরণে রেখে মনে করবে পদ্মে মধু হল।
এমন আয়নাও নয়, রূপসীর চূর্ণ কটাক্ষের
রৌদ্র লেগে ধন্য হবে বলে তার জন্ম হয়েছিল।
প্রেমরাশি অগাধের। বালির পর্বতে, সহৃদয়া
যে শ্বাপদ বাস করে, তার রক্তে কতটা লবণ?
তুমি হে বালিকাদশা, গ্রীবাভঙ্গি উদ্যত করেছ
উল্কির নকশায় দাঁত, রক্তপায়ী চোষক চেন না।

দিন ঢলে। একমাথা রাত্রির ভিতর শুঁড়িপথ
রুপোলি রেখার মতো অন্ধকারে স্বতশ্চলা হবে।
ভালোবাসি বলে হাসবে খলখল বীতকাম প্রেত
তুমি ছোঁবে বজ্রে পোড়া অঙ্গ তার, মল্হার লাগবে না।
ভালোবাসা...সহৃদয়া, ব্যবহারে জীর্ণ করে তাকে
শিল্পের গহ্বরে শুষতে কীরকম অনুভূতি,বল?

*

ও যায়, সঙ্গে যায় ছায়া
ও থামে, সঙ্গে থামে ছায়া
ও কাঁদে, ছায়ার চোখে জল।

ও ভোলে, সঙ্গে ভোলে ছায়া
ও দোলে সুরের দোলে, ছায়া
ও পাগল, ছায়াও পাগল !

তুমি এসে হাতে হাত ধরে
ও আর ওর ছায়ার ভেতরে
খুলে দাও পোশাক, আগল।

*

ফুল আঁকি আঁচলে,
ফুলে গন্ধমধু কে ঢালে জানি না।
খিদে যার মন আর খিদে যার হাত,
এ আঁচল তার। এ আঁচল ছায়ার সংসার।
দিনান্তে, উৎসবশেষে, ধুয়ে আসি জলে।  
আরও ফুল আঁকি আঁচলে।



মধুরং

স্মৃতি রাখতে নেই ?

মুছতে গিয়ে দাগ বসে যায়, তেমন চাবুক তুমি খাওনি কখনও।

*

পোশাকে আড়াল করি গোপন জড়ুল

জন্মজন্মান্তরে আমি কত কী হলাম !

তুমি বলেছিলে ফুল হতে। ক্ষুধা নিয়ে, পাখা পরে ডেকেছিলে... ফুল...

*

এমনি ধারা বহে

চিরকাল...

বাঁকের মুহূর্তে স্রোত স্থূলকটি, দূরে গিয়ে কৃশ...

সুন্দর খেলছেন, সত্য খেলছেন তবুও... অহর্নিশ...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন