দোঁহা

সব্যসাচী মজুমদারের কবিতা



 শিমুল তলার

শিমুল তলার দিক থেকে দুটো পায়রা নদীর ওপর
উড়ে এলে কালো আকাশের গায়ে বড় ভালো লাগে।
মুগ্ধ বালক তাকালেই দেখে নিম হয়ে গেছে দিগন্তভেদ
শুধু ওপারের ঘাটে লেগে আছে
একখানা ছই
কালীর কাঠামো ...

শহর ফাটিয়ে ঘড়ি বেজে ওঠে
বৃষ্টি নামল...
বাঁচতে আমরা শিশুগাছটার তলায় দাঁড়াই
শহরের আলো কমে কমে আসে...

তক্ষুনি ছাদে আদর করছে
                       যুবকের পিতা...


জলের মতো

জীভের নীচে আকাশ এবং জীভের নীচে গাছ
জীভের কাছেই ডিম পেড়েছে সব কটা কই মাছ

মাছের পাশে ধানের গায়ে শব্দ ওঠে শুধু
ঐ দিকে লোক যাচ্ছে এবং এই পড়ল থুতু

ধুধু করে দৃশ্যাবলীর সব নিরুপম দূর
তোমার অসুখ যৌন হলে কার মতো ভঙ্গুর

আলোয় মিশে যাচ্ছি আমি। যাচ্ছে হরিণেরা
এসবখানে তুমিই কেবল কান্না থেকে ফেরা

ধানের তলায় একটা মেঠো ইঁদুর শুয়ে আছে
আকাশ জোড়া হরপ্পারা আমার মতো ভাসে

হরপ্পা হয় অযোধ্যা হয় বয়স্হা হয় না
আসলে এক জেন কবিতা বাস্তু সাপের মা

অজস্র মিথ এই বাড়িতে।আর ওদিকে সবার
জীবন্ত মথ ছটফটিয়ে উড়ল পুনর্বার

শ্যাওলা জমে টালির ওপর। অন্ধকারে ভাম
লাফিয়ে নামে কদম ডালে - এইটুকু ঘটলাম

বলেই তুমি আয়না ভাঙার বছর পাঁচেক পরে
টুকরোগুলো আবার তুলে কাঁদলে অকাতরে

অকাতরের সব রয়েছে। অশ্বিনী নেই কোনও
তুমি আমার গন্ধ পাওয়ার আগেই এসব শোনো

শুনতে পারার ক্ষোভ ছিল ঘর শূন্য করার আগে...
একটা নতুন চৌকাঠে বিষ মৌন হয়ে থাকে

পিতা, পিতা, হে পিতা গো, ইছামতির পাড়ে
আমার মতো সবাই মিলে বাচ্চা ছেলে মারে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন