দোঁহা

সাম্য রাইয়ানের কবিতা

 


 হালকা রোদের দুপুর
 

২৩

দগ্ধ হচ্ছে বন, আর তুমি ডুবে যাচ্ছো। এ কেমন ঋতু! তীর্থবনে— কৃষকের মৃত্যু ফুটে আছে রক্তিম কাঁটায়। ধ্বণিহীন, শোকবার্তার কাছে দৈব অনুরোধ, অনির্বাণ প্রেমিকার মতো জড়িয়ে দাও ফসলের ক্ষেতে। যা কিছু উজ্জল মোড়কে, ঘ্রাণযুক্ত স্মৃতির পোশাক, খুলে, নগ্ন করে দাও। ঋতুর পাশে নদী। বালু তোলার শব্দ। কৃষকের সমাধিতে রোপন করো দূরাগত ফসলের ঘ্রাণ। তারপর যথারীতি কান্নার দিকে যাও। নিজস্ব চোখের কাছে হাত পেতে ডাকো মেঘমল্লার, বর্ষার মৌসুম।


২৪

বসন্তের কোকিলটা গেল কই? সময়ের প্রতি সে ব্যাপক শ্রদ্ধাশীল। পিরিয়ড ফুরাইলে তার যথাতথা ডাকাডাকি নাই। অদেখা বাগানের কোলঘেঁষে, আমি বিরক্ত বহুৎ, দেখি এপ্রিলের ঝড়! আগুনের সামান্য পুঁজি, অথচ অনেক সিগারেট — চলে যাও শৌখিন শিকারীর সাথে, যদি কিছু বন্দোবস্ত হয় মৎস্যশিকারের। অথবা বাদ্যযন্ত্র আনো। সে-ও খানিক কাজ। ঝুমঝুমিয়ে আনন্দযজ্ঞ করো। একদিকে মন্দিরার কাম, অন্যদিকে ভীষণ উচ্ছাস। দমকা হাওয়া নেই। অনুশোচনায় ডুবে যাচ্ছে কোকিলের গান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন