দোঁহা

পলাশ দে'র কবিতা



ফেরার

জলের থেকেও অধিক ভিজে যাচ্ছি
নৈবেদ্যের চেয়েও ফালা ফালা
ঝোপঝাড়ে আমের কুশি নেই শিলাবৃষ্টি হাপিস
বন্ধু খুঁজতে গিয়ে "আমি" কুড়িয়ে আনছি

হাঁফ ধরে যায় হাঁফ ধরে যায়

তুমি মুক্তিযুদ্ধের পেট সেলাই করে ফিরেছো
মুখ বন্ধ রেখেছ এখনো কাঁটাতারের সঙ্গে
পিঠের দাগ

হাওয়ার থেকেও বেশি জমাট বেঁধে চলেছি রক্তে
হাঁ -য়ে উড়ন্ত প্রেমিক, উন্মাদ বোন, পলাতক পিতা

দেনা শোধ করতে গিয়ে সমস্ত খোয়াব
কালবৈশাখী হয়ে গেল
আজও ফিরছে না

তোমার পেখম, কার্তুজ ভাবছে কেউ কেউ...


ভোলামন

ভোলামনের নিরুদ্দেশ মনে আছে?
এক ধরনের শব্দ করতো আর ঠোঁটের ভেতর পাখি ঢুকে যেত
আকাশ নামতে পারবে না বলে মেঘ বাজিয়ে বাজিয়ে
বুনো তেঁতুল গাছ ছুঁয়ে ঝরঝর

সেবার কি ভিজেছিলে তুমি! ভিজিয়েছিলে?
তিনফসলী মাটি ভেঙে রাস্তা ছুটলো আত্মহননে
ভোলামনকে ঘিরে তখন ধর্নাপৃথিবী

তুমি রসকলি গাঁথছিলে
তুমি  কাঁপছিলে ... চিরহরিৎ

লালশাকের ক্ষেতে মিশে গেল তোমার ভুখাপেটের বাচ্চা
সব রস মিলেমিশে কেমন নার্সিং হোম রমরমা

ভোলামনের চোখে শান্তি আর হাহাকার মনে আছে!
সেইসময় এমনকি সেই স্খলনের মুহূর্তেও
কাক ও কোকিল একসঙ্গে বাসা বাঁধছিল
মাথাপেটপাঁজরজঙ্ঘাকাঁটাতার

আর, ভোলামনের সহ্য ... বাঁধছিল



1 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন