দোঁহা

নাফিউল হকের গুচ্ছকবিতা

 



পরমায়ুহীন

সন্ধ্যামুখী মেয়েটা
সারাটা সন্ধ্যা বসে থাকে পদ্মার জল ছুঁয়ে

জলের ভেতর বুক পেতে শুয়ে আছে মাছ
মেয়েটা বসে বসে আঁকতে চায়
মাছের অক্ষর...

সন্ধ্যামুখী মেয়েটির পাশে বসে বুঝলাম-
মাছের অক্ষর পরমায়ুহীন।
জল থেকে ডাঙায় এলেই
এরা মুছে যায়।



 স্নানঘরে মা

পাখিঠোঁট নিয়ে আসে জল
মরা নদী জেগে ওঠে ভোরে

কিছু শব্দ,
কিছু সুর,
কিছু মন্ত্র।

স্নানঘরে মা।
জলের মুখ ভাঙে। স্নান করে।

জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে–
মা আমার এক সময় মেঘ হয়ে যায়।
তৈরি করে নতুন পথ,
জল গড়িয়ে পড়বার।



অলকানন্দা

আমার ঠোঁটের ওপর
তোমার কপাল,
বৃষ্টির জল দিয়ে
ধুয়ে দাও...

একদিন পথ ভুলে
চলে যাও পাহাড়ে,
রোদ্দুর গায়ে মেখে
একটু দাঁড়াও।


সংসার যাপন


নিভে আসে উনুনের আগুন
হাঁড়িতে জল আর কতটুকু দিলে
সেদ্ধ হবে চাল
এসবের কিছুই বোঝে না মেয়েটি।

শুধু শিখেছে
সংসার যাপন এর উপপাদ্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন