দোঁহা

শুভদীপ দত্ত প্রামানিকের কবিতা


পূর্ববঙ্গের প্রচ্ছদ 


আমার প্রেম আমার স্বাধীনতা 
একতরফা সীমারেখা কোঁকড়াচুলে খোঁজে ভাঙা জয়গান
গায়ের রং অন্ধ কায়দাতে ডগমগ
নারী পুরুষ পূর্ববঙ্গের প্রচ্ছদ 
ডাঙায় অড়হর খেতের যৌবন।

মা ও শিশুরা দুরন্ত, কি রঙ আহ্লাদের কোর্ণাক জানে না? 
নীল রাত ঘোরে রুটির গোলাপি ঠোঁটে
স্বাধীনতা মনোহারির দোকানেও আঁকাবাঁকা! 

ছায়া বাংলাদেশের ছায়াটাকেই খোঁজে
আবহমান ভুল শিকার করে নিয়ে যায় ভিক্ষা পাত্রের আবর্তন গতি। 


রবিশস্য 
 
চকিত ঐ খিদে 
পরমাণু নিবিড় হয় দক্ষিণে-নাদে
কাজুবাদামও ব্রহ্মজ্ঞানী
স্বাধীনতার ধর্ম একপাদ ধারালো শব্দ।

হেঁটে হেঁটে যারা চন্ডাল থেকে ব্রাহ্মণ কিংবা ব্রাহ্মণ থেকে চন্ডাল হল প্রত্যেকেই আমার বাংলাদেশ
আলাপে পঞ্চপ্রাণ
সম্মোহন ভুলে বৃতি-দলে মিলে দি জাতীয় পতাকা।

আর বৃদ্ধা তেল সিঁদুরের টোপ দেয় মহামায়ের রবিশস্যে। 

রবিশস্য স্বাধীনতা 
রাজ্যপাট ফলনশীল বিদ্রোহ দেখলে এই বঙ্গেও ডরায়। 


স্বদেশ

এই নাও খড় ও স্রোত
ভৈরব, সন্ন্যাস ভালোবাসে বাংলা মায়ের কোল
অজস্র তরল সুর বাজে মায়ের সিঁথিতে
আলো হাতে ত্রিপূর্ণিতে বেহুলা বাজায় দোতারা।

বেহুলা দেশের নাম
ত্রিপূর্ণির কোনো ভাগ হয় না
হে বাঙালি কাক আমিও বাঙালি। 

বেলা-অবেলা-মাদল 
মর্ত্যে আঁষটে গন্ধ থাকলেও
আমাদের পদবি স্বদেশ।

ঝুঁকির গন্ধর্বে রাষ্ট্রনীতিবাদ বুঝি না
গ্যালারিতে টাঙানো বিস্ফোরণের আলোকচিত্র। 












একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন