দোঁহা

অমিত মজুমদারের কবিতা


 বাতিঘর থেকে কোনো লাইভ হচ্ছে না

না খোলা শরীর নিয়ে তুমি কোনদিকে যেতে চাও?
বৃক্ষবন্দনার মরশুমে
বাতিঘরের চূড়া জুড়ে আগাম সতর্কতা
মেঘ সেখানেই আটকে দিয়েছে রোদের উত্থানপর্ব।
জামা খুলে উদোম দেহে ঘামের সাথে মিশিয়ে নাও
পাড়া বেড়ানো বেড়াল
তার চোখ এক ভয়ানক চ্যালেঞ্জ। সে কিন্তু
তোমাকে জাতীয়তাবাদ হস্তান্তর করবে না সহজে।

এখানে এপিটাফ না থাকলেও টুপিটা খুলে দাঁড়াও
টুপির মধ্যে থাকতেই পারে লুকোনো জলপাই চারা
যা তোমাকে গুঁড়ি হতে শেখাবে।
সমুদ্রচিহ্ন আঁকা কাঁচা হাতের ওপর দিয়ে চলে যায়
যে অঙ্গুরীমাল জাহাজ তাকে আটকে দাও
ডেক ভেসে যাক নির্জন কবিতাগুচ্ছে।

শুধু বাতিঘরে কেউ দূরবীনে চোখ রাখলে জানবে
দূরবীনে দীর্ঘদিন কোনো কাচ লাগানো নেই।



মেরুকরণ
 
মরণকামড় দিতে তোমাকে একটা মারণাস্ত্র উপহার দিলাম
অসম্ভব ধারালো তার শরীর। তবে
এটা দিয়ে শুধুমাত্র একজনকেই হত্যা করতে পারবে।

তুমি হাসতে হাসতে নিজের দিকে অস্ত্র তাক করলে
এবার বললাম, নিজের ওপর এই অস্ত্র কাজ করে না
তুমি আর একটু হেসে আমার দিকে ঘুরিয়ে দিলে অস্ত্রমুখ।

অস্ত্রের মুখ আর আমার বুকে একই মেরু জমে আছে
তুমি যতবার আমার দিকে অস্ত্র তাক করলে
ততবারই সে সমমেরুর বিকর্ষণে ঘুরে গেলো অন্যদিকে।

অথচ ওইদিকে কোনও শত্রু নেই। বিপ্লবের ইস্তেহার জানে
অস্ত্রের দিকে ভয়ে পিঠ পাতলে অস্ত্র মসৃণ হয়
আর সাহস করে বুক পাতলে অস্ত্রটাই ভোঁতা হয়ে যায়।

এখন তুমি অস্ত্রটা এদিক-ওদিক ঘুরিয়েই চলেছো
আর সুযোগ বুঝে প্রতিটা বিরোধীই
নিজের বুকে এঁকে ফেলছে অস্ত্রের রঙেরই একটা মেরু।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন