তিথিকৃত্য – ১৬
অন্ধকারের কথায় যে ঘুমিয়ে পড়েছিল
আন্তর্জালে সে লিখে রাখে ভালোবাসার গল্প।
টাইমলাইনের সাইনবোর্ডে কেউ
দুঃখনামা লিখে সুখ পায়
খুনসুটির মতোই অনেকটা।
লেখা থাকে মানুষেরা কে কোন্ পক্ষে নত
যে পক্ষই নিক, আস্তিক-নাস্তিক, পুজারী বা প্রর্থনা ওয়ালা,
ডান বা বাম, হতেই পারে।
সংশয়ে ত্রস্তদের কোনো পথই থাকে না,
তাদের দুচোখে ওড়ে ধোঁয়া।
কুয়াশার ভেতরই নিজের পথে হাঁটতে পারেন,
ভাঙতে বা গড়তে পারেন মাটির চেরাগ।
চেরাগের পূর্বসূরি মাটি দিয়ে গড়া ছিল বলে
তার কোনো দুঃখ নেই—
রোজ সন্ধ্যায় মা ঘরের বাইরে প্রদীপ জ্বালিয়ে নামাজে যেতেন,
বলতেন সন্ধ্যায় আলো দিলে লক্ষী আসে দরজায়...
কোনো তিথি দেখে লক্ষ্মী এসে
কখনো বসেছে কিনা জানি না, মায়ের মনে শান্তি ছিলো।
প্রার্থনাওয়ালা - শব্দটিতে অচলায়তন ভেঙে পড়ে। কবি তো এভাবেই জঞ্জাল সরাবেন সভ্যতার। প্লেটো যে কেন কবিদের বঞ্চিত রেখেছিলেন কাল্পনিক স্বর্গরাজ্য থেকে, সহজেই বোধগম্য হয়। কবিতার শেষ হচ্ছে এক অপূর্ব সামঞ্জস্যে। অপূর্ব কারণ 'মায়ের মনে শান্তি ছিল' লিখতে গিয়ে প্রতিষ্ঠা হয়, ধর্ম এক পালনীয়, ধর্মের বিশ্বাস নিজস্ব দেরাজে রাখা অকিঞ্চিৎকর হতে পারে, কিন্তু এর বহিরঙ্গে কোন জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার অস্তিত্ব নেই। বড় ভালোলাগল।
উত্তরমুছুন