বসন্তবর্ষণে
অতলব্যাপী দিঘির পাড়ে অলস আস্তানায়
ছিপ হাতে সে ছিল কিসের অপেক্ষায়?
কালদিঘির শ্যাওলাশ্যামল বুকে কোন অনাদি আকম্পন
বেঁধেছিল তাকে অদৃশ্য বিষুবরেখায়?
বসন্তবর্ষণে বেহায়া বারিষ
যেদিন ভেঙেছিল পাড়ে,
সেদিনও সে ছিল ছিপ হাতে-
এমনও তো হতে পারে
সে দাগ কেটেছিল কোনো কল্পপ্রপাতে।
রোদজোছনায় মিশে যায় সে
ছিপ হাতে আর যায় না তাকে দ্যাখা-
সে তবে পেয়েছে ছাড়া,
মিটিয়ে তার যাবতীয় ভাড়া।
স্বপ্নে যায় না মাথাপিছু গোনা, এলোমেলো সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে
চলেছে এক স্রোত মোহনিয়া
আছড়ে পড়তে চেয়ে শেষ সীমান্তে-
সেখানে কী আর পাওয়া যায় তার দ্যাখা?
ভাঙন
শূন্য অমেয় সুতলে
কে পারে ঠেকাতে
ভাঙন তড়িঘড়ি?
জোড়া যায় যদিবা
ভাঙন ধরলে জায়গিরে,
ধারাসম্পাতে ভাঙলে পাড়
রক্ষে থাকে না ঘরবাড়ি।
বধ করে পুষ্পযোনি
লুপ্তশিশ্ন পুঙ্গবের ফৌজ,
পারে কী রুখতে
বিদ্রোহী বসন্তোল্লাস?
কী নির্মোহ ভাঙনলীলায়
প্রস্তুত তবু পৃথ্বী!
জেগে রয় যে অন্ধকার,
ক্ষুরধার, নৃশংস প্রতিহিংসায়
ছারখার করে গর্ভঘর।
দ্বারে বাধাপ্রাপ্ত ভক্ত অগণিত
শক্ত হাতে ধরে নৈবেদ্য,
আশা করে ঈশ্বরকৃপা
খণ্ডিত সমতলে।
আর শুধায় কেন আসমুদ্র হিমাচল
'কে বানায় জল - অচল
নর না ঈশ্বর'
চমৎকার লেখা
উত্তরমুছুন