দোঁহা

অর্ণব সামন্তের কবিতা

 


জ্যোৎস্না

জ্যোৎস্না লালন করে, জ্যোৎস্না পালন করে 
সেই জ্যোৎস্না করে পান, সেই জ্যোৎস্নায় চান 
গানঘরে চান করে উঠে আসে নির্জন দুপুর 
তিলক কামোদ বেজে ওঠে দখিনা সুবাতাসে 
অরণ্য শেখাও তাকে , মোহনা শেখাও 
উপত্যকা দিয়ে গড়িয়ে পড়ে আশ্লেষ বর্ণমালা 
গহীন গাঙের অথৈই জলের গভীরে যেতে চায় জল 
সংস্কার উচ্ছন্নে পাঠানো নির্ভীক আদি প্রাণ 
দ্বৈততার বীজ বোনা জমিনকে এককের দৌরাত্ম্যে ডাকে 
বুদ্বুদ জীবন ভুলে ডুবে যায় দৃঢ় প্রত্যয় গরিমায় 
ঝঙ্কারে ঝঙ্কারে জাগে জায়মান সময়ের অপত্য সুখ 
দ্রাঘিমাংশ রেখে দেয় বুকের গভীরে বুকের গভীরে 
জ্যোৎস্না কথনে কাছে দাঁড়ায় সাতজন্মের আত্মীয়তা নিয়ে 
জ্যোৎস্না ভাগ বাটোয়ারা করে দুটি চাঁদ 
আবার এককের জ্যোৎস্নায় হারায় দারুণ! 


দেরাজে সাতজন্ম 

দেরাজে তুলে রাখি গত জন্মের দরাজ হৃদয় ও দুপুর 
সন্ধ্যের ভিজে কন্ঠ, রাতের অঙ্কুরোদ্গম 
সকাল সকাল কুসুম কুসুম মন আছে তোর শরীর নেই 
বিকেলে শঙ্খকে বাজাল হলুদের গভীরে গিয়ে 
বিদ্যুচ্চমকে বিদ্যুচ্চমকে কখন বৃষ্টি এল, কখন যে জ্যোৎস্না 
ভিজে পুড়ে ভিজে পুড়ে দহন স্নিগ্ধ বেলার কামনা 
সুর সৌরভ ছড়িয়ে ছড়িয়ে করতলে এনে দিল সমস্ত ভুবন 
সাতজন্ম বেঁধে গাঁটছড়ায় মুক্তিকে দেওয়া হল ছাড়পত্র 
দেরাজে দ্রাঘিমাংশ অনন্ত দ্রাঘিমায় ভাসে মগ্নমুগ্ধতায়!


                                                                         





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন