ফ্ল্যাশ
আমারও জন্ম অধর্ম লেখে দুপাশে সায় দেয় বিকালের হুতাশ
প্রেম নিছক গল্প বুঝি মশাই!
কানে অল্প বধির হয়ে যেতে যেতে
সমস্ত পুঁজ,পাথরের উদাস মেখে চিরকালের কান একাংশে হারায় খেই।
ফ্ল্যাশের পরপর
সব ছবি ডিলিট করি।
সফটওয়্যার আবেগ ছুঁলে ম্যালওয়্যার নামে দেগে দেয় তালেতালে
সোয়াইপে হামাগুড়ির জীবন
গন্ধদ্রব্যস্য আলোকালীন কোন ফ্রিজ আঁকড়ে ধরে।
জন্তু
বুনো গন্ধে ভরে যায় ঘর
শুয়ে পাশে বালক কবর,নেভা রাতের চিরকুট রাখা
মিশমিশে কালো পতাকাকে বস্ত্র করি,
অরণ্যে মেশা পা আমার
বীরপুরুষ সাজতে সাজতে চোখের পলকে মা কখন যে হারিয়ে যায়
তীর ধনুকটি ট্যাঙ্কে তোলা
শৈশবফুল ফেলে দাও কলমপাতা
আধমোছা আল্পনা,
নলখাগড়ার দোয়াতে একফোঁটা ঈশ্বর যে দেখি।
নৃশংস
উনপঞ্চাশ সংখ্যক আহ্লাদের পর তথাকথিত কোন ব্যার্থ নায়কের মুখ ধরা পড়ল শ্লেটে ।
লিখলাম মরিচশোক
পার হলো দুগুন দশ বছর
মলাট খুলতে খুলতে একদিন সন্ধ্যা নামলো ঘাটে,
ডুবলো সে কালো চাঁদের জলে।
সায়র ঘন্টা তরঙ্গ তুলে লিখলো, শোক
হত্যা থামেনি আজও।
ভাঙন
হঠাৎই কেঁদে ওঠে পাড়া
আঘাতঘরটির মূর্মূষু টালি ভেঙে পড়ে ঝড়ে
হুতাশ হাওয়া মিশুকে দুঃখ কোলে নিয়ে সংবাদ বিলোয়।
অবহেলিতের সন্তান
এখন সে কাঁখময়, আলো করে,
বাতাস ভরে টালিঘরে
মূহুর্তটি ধুলো ঝেড়ে উঠে বসে এরপর।
ক্লীব
ততদুর ভাসতে পারি,বইতে পারি মায়াজলে
কাজলসবুজ নিবিড় রেখা পান্না সেজে গল্প বলে।
ধরতে পারি দৃষ্টিত্রিকোণ, আঁচড়কাটা বেঁচে থাকা
লিখবো কত কাব্যকথা,জীবন পাতার নিরবতায়।
এখন কিছু সন্ধ্যা বাকি, নিঝুম আলোয় মুক্তা রাখি
দিন ফুরোলে আলোর নদী বেশ পাড়ি দেয় অন্য গোলে।
সুরটি তুলে মাঝির বিদায়,নৌকা ওড়ে নদীর খাতায়।