দোঁহা

নীলম সামন্তের কবিতা

 


প্রজাপতি প্রিজম

১)

ভাঙা মানেই গুঁড়ি গুঁড়ি এমন নয়, 

এই যেমন, মেঘ ভেঙে বৃষ্টি নেমে আসার পর 
ময়ূর বেরিয়ে পড়ে বাদশাহী বাহারে— 

ভেজা কাক কিংবা পায়রা হাঁ করে দেখে —

হর্ষ নাকি বিষাদ? 
বিচ্ছিন্ন নাকি মিলন? 

বিপরীতমুখী সম্মিলনকে সামনে রেখে 
কস্তুরির খোঁজ করা হরিণ, 
তুমি কিংবা আমি
দুজনেই আনন্দ সুরে ভিজে যাই মিথোজীবির বাহুল্যে।

২)

অতঃপর আনন্দের দিকে আঙুল রেখে ভেবেছি

বিকেল হলে আকাশের মুখ দেখব না 
কিংবা জলের প্রতিচ্ছবি এড়িয়ে যাব

ঘরে ফেরার সান্ধ্য-মজলিসে 
নৃত্য পরিবেশন করুক গঙ্গাফড়িং 

চায়ের আসরে বিহারী— 

জাফরির পেছনে বসে,
নকসী কাঁথা ও রূপকথার মধ্যবর্তী চন্দবিন্দুকে ভালোবেসে 
চোখের বালি থেকে তুলে আনব বিনোদিনীর আহ্লাদ; 

তৃণাঙ্কুরের মতো সুক্ষ্ম, ক্ষুদ্র অথচ প্রতুল।

৩) 

কোন গাছের দিকে তাকিয়ে 
ক্রমশ শিশু হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় 
যাবতীয় পরিমিতি ভুলে 
পাতালুকানি খেলায় যোগ দেব

আনন্দের তখন কোন বিভাগ নেই 

নির্মল স্নিগ্ধতায় জায়গায় জায়গায় মস্ত অ্যাকোয়ারিয়াম

মাছ ব্যবসায়ীদের অর্থলোভী খুনি বা ডাকাত ভাবার আগে
রঙ নিয়ে হাজার মাতামাতি

প্যাস্টেলের গন্ধ, 
পুরনো আঁকার খাতা, 

রঙ চেনার ছুঁতোয় মেপে নেব টাইমমেশিনের যাত্রাপথ—
আমাদের হারিয়ে যাওয়া প্রজাপতি প্রিজম। 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন